ডা. রাশেদুল হাসান রানা: গরীবের ডাক্তার
গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত জে ইউ. হাসপাতাল, যা পূর্বে “জালাল উদ্দিন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার” নামে পরিচিত ছিল, এই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. রাশেদুল হাসান রানা একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। তাঁকে সাধারণ মানুষের মধ্যে “গরীবের ডাক্তার” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
করোনাকালীন সময়ে, যখন সারা দেশের মানুষ ভীতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল, ডা. রানা অসহায়দের পাশে দাঁড়ান। তিনি চিকিৎসাসেবা ও ত্রাণ বিতরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। হাজারো করোনা আক্রান্ত রোগীকে তিনি সেবা দিয়েছেন, এবং যারা আর্থিকভাবে সমস্যায় ছিলেন, তাদের জন্য নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা প্রদান করেন। বর্তমানে তিনি এখনও তাঁর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা ও ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকার মানুষের কাছে ডা. রানা এক ভরসার নাম। তিনি বলেন, “ডাক্তারি পেশা শুধু রোগ নিরাময়ের জন্য নয়; এটি মানবতার সেবার এক মাধ্যম।” জে ইউ. হাসপাতালের সেবার মাধ্যমে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা গ্রহণ করছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভেবেছিল চিকিৎসা affordability তাদের জন্য একটি স্বপ্ন। কিন্তু ডা. রানার জন্য সেটি সম্ভব হয়ে উঠেছে।
ডা. রাশেদুল হাসান রানার বিশাল হৃদয় ও সদিচ্ছার কারণে হাসপাতালের পরিবেশ এতটা মানবিক ও সহায়ক হয়ে উঠেছে। রোগীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই যেন এক পরিবারের আবহে প্রবেশ করে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “ডা. রানা আমাদের জন্য এক আশীর্বাদ, তাঁর চিকিৎসার ফলে আমরা নতুন করে বাঁচার আশা দেখছি।”
শিক্ষার প্রসারে ডা. রানা সচেতনতা সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি স্থানীয় স্কুলগুলোতে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেমিনার আয়োজন করেন, যেখানে শিশুদের স্বাস্থ্যবিষয়ক ধারণা বৃদ্ধি করেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছেন।
ডা. রানার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে হাসপাতালের কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করা, যাতে আরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, একজন চিকিৎসক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব কেবল অসুস্থদের চিকিৎসা নয়, বরং সমাজের সকল মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা।
ডা. রাশেদুল হাসান রানা সমাজের জন্য একটি অনন্য উদাহরণ। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম, মানবিকতা ও সমাজসেবার মানসিকতা তাঁকে শুধু একজন চিকিৎসক নয়, বরং একজন মানবতার রক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর এই অবদান গরীব মানুষের জীবনে নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে।