খোলা চিঠি-
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রথমেই জানাই সালাম। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপনার জন্য হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। যেসকল শহীদরা বৈষম্য দূর করতে জীবন দিলো তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। আমরা ১৮তম নিবন্ধনে লিখিত ফল প্রত্যাশী। এই নিবন্ধনে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার আবেদন করেছিলো, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ আবেদন।৷ ১৮তম নিবন্ধন প্রিলিতে ৪.৫ লাখ পাশ করে, এরপর দেশে বন্যা পরিস্থিতি ও অস্বাভাবিক অবস্থার কারণে ৩.৫ লাখ পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
পত্রিকার বরাতে বেসরকারি স্কুল-কলেজে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৮ হাজার পদ ফাঁকা পড়ে আছে। ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীদের কাছ থেকেই এর অধিকাংশ পদ পূরণ করা সম্ভব। নিবন্ধন লিখিততে এবার সর্বোচ্চ কঠিন প্রশ্ন হয়েছে, যেখানে নতুন সিলেবাস ও প্রশ্ন কাঠামো ছিলো।
কিন্তু মাননীয় উপদেষ্টা, অতীব দু:খের সাথে জানাতে হচ্ছে, The Daily Campus পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারছি ১-১২ তম নিবন্ধনধারীরা যারা শুধুমাত্র MCQ পরীক্ষা দিয়ে সনদ পেয়েছেন, যাদের বয়স ৪৫-৫০ বছর, এনটিআরসিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে আপনার বরাবর ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামক প্রহসন করে তাদের বিরাট একটি অংশকে চাকুরি দিতে চাচ্ছে, যেটি অবশ্যই আইন বহির্ভূত ও নিয়ম বহির্ভূত। ১-১২ তম নিবন্ধনধারীরা এ নিয়ে হাইকোর্টেও অবৈধ ঘোষণা পেয়েছেন। যদি কোন কারণে ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ অনুমোদন পায় তাহলে এ দেশে শিক্ষিত যুবক আবার বৈষম্যের শিকার হবে। আপনার নিকট আকুল আবেদন এই যে, আপনি এই বৈষম্যমূলক ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ অনুমোদন করে ৩.৫ লাখ বেকার যুবকের মন ভেঙ্গে দিয়েন না। এই ৩.৫ লাখ বেকার হতদরিদ্র এবং করোনার কারণে তাদের জীবন থেকে ৩ বছর চলে গেছে এবং সরকারি চাকুরির বয়সও তাদের শেষ হয়েছে।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমরা আশা করি আপনি এই অন্যায্য দাবিকে অনুমোদন দিবেন না, তারপরও এই খোলা চিঠি লিখতে বাধ্য হলাম।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতি বছর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা এবং যোগ্য শিক্ষক দেশসেবা করার সুযোগ পাক- এটুকুই চাই।
এই বাংলায় কোন বৈষম্য না হোক,শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হোক।
[ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশী ছাত্রসমাজের পক্ষে মোঃমাহফুজুর রহমান]
[আপনার যেকোনো লেখা, মতামত, গল্প, কবিতা এই ওয়েবসাইটে ফ্রিতে পাবলিশ করতে চাইলে পাঠিয়ে দিন ednoub17@gmail.com এ। সাথে আপনার নাম, সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও ফেসবুক একাউন্ট লিংক পাঠিয়ে দিতে ভুলবেন না কিন্তু! ]