জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানা ও নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানা বেয়ে সোয়াই নদী খনন কাজ চলমান। কিন্তু শ্যামগঞ্জ বাজারে আশেপাশে নদীর অস্থিত্ব নেই বরং এখানে খনন করার মতো জমিও নেই। এই অংশের নদীর নির্ধারিত জায়গা ভূমিদস্যুদের দখলে। সেই সোয়াই নদী খননের সময় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে নদীকে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি পালন করেছেন। উক্ত মানববন্ধনে মারিয়াম সোহান বলেন, “সুয়াই নদীর তীরে ভূমিদস্যুদের কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। মেইন রোডের পাশে সোয়াই নদীর তীরে ভূমিদস্যুদের যত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা সড়িয়ে ফেলতে হবে এবং সোয়াই নদীর তীর ঘেষে তরঙ্গ হলের গেইট থেকে মেইন রোডের দক্ষিণ পাশ হয়ে অবৈধ দখল দারিত্ব উচ্ছেদ করে মাঝিপাড়া পর্যন্ত দৃষ্টি নন্দন ওয়াক ওয়ে এবং শিশুদের জন্য একটা পার্ক নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি এই কাজ গুলো সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো।”
ঐতিহাসিক শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠ দখলমুক্ত করার ডাক দিয়ে, এলাকার তরুণ সমাজের সাথে শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠ দখলমুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন করেন। এ লক্ষ্যে গত শনিবার (২৩ মার্চ) বিকাল ৩ টায় মারিয়াম সোহান এর নেতৃত্বে সকলকে রেলওয়ে মাঠে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিলো, গত শুক্রবার রাতে এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানিয়েছেন শ্যামগঞ্জের কৃতিসন্তান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাষ্টার দা সূর্য সেন হল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোঃ মারিয়াম খান সোহান। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “আজ (শনিবার ) বিকাল ৩ টায় শ্যামগঞ্জ ঐতিহাসিক রেলওয়ে মাঠে আমরা থাকবো ইনশাআল্লাহ ,এই মাঠ টি দখল মুক্ত করে পুনরায় খেলার উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।” জানা যায়, ঐতিহাসিক শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠে দীর্ঘদিন যাবত প্রভাবশালী কয়েক জন কাঠ ব্যবসায়ী দখল করে আছেন। মাঠে তাদের রাখা কাঠের জন্য গর্ত সৃষ্টি হয়, খেলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং মাঠের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া সোহানের নেতৃত্বে শ্যামগঞ্জের তরুণদের নিয়ে, শ্যামগঞ্জের ঐতিহাসিক শশ্মানঘাট ভূমিদস্যুদের থেকে রক্ষা করার প্রস্তাবিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন।
শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে নির্মিত পাবলিক টয়লেট খুলে দিতে ৭২ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) স্টেশন চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এলাকাবাসীকে নিয়ে এ আল্টিমেটাম দেয় মারিয়াম সোহান। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “শ্যামগঞ্জের জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আমাদের এ রেলওয়ে স্টেশন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ স্টেশন থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ, জারিয়া, মোহনগঞ্জ যাতায়াত করে। তবে দুঃখের বিষয়, এত গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ একটি জায়গায় নির্মাণের অর্ধ যুগ পরেও এখনও পর্যন্ত রেলওয়ে স্টেশনের পাবলিক টয়লেট চালু করা হয়নি। আমরা এলাকাবাসী পরিষ্কার ভাবে বলে দিচ্ছি, আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ ব্যবহার উপযোগী করে ঐতিহ্যবাহী এ শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাবলিক টয়লেট উন্মুক্ত করে দিতে হবে।” এ বিষয়ে মারিয়ার সোহান তার ফেইসবুক টাইমলাইনে লিখেন, “আমার কন্ঠ সাময়িক রুদ্ধ হলেও আমার বিশ্বাস, আপনারা শ্যামগঞ্জের অনিয়ম,ভূমিদস্যু,সোয়াই নদীর চর দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে পারবেন। স্টেশন কতৃপক্ষকে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”