চার/পাঁচদিন টানা বিছানায় শোয়া, আজই প্রথম অল্প সময়ের জন্য বাইরে বের হয়ে এমন প্রশ্ন শুনে বিরক্ত হলাম। তারপরও বিরক্তি চেপে হাসিমুখে বললাম, “বড়ভাই, ১৯৭৪ সালে ভারত আমার প্রাণপ্রিয় বঙ্গবন্ধুরে চাউল সহায়তা দেয় নাই। অন্যদিকে চোরাচালানের জন্য বর্ডার ওপেন করে দিছিল। সরকারি হিসাবেই ১৯৭৪’এর দুর্ভিক্ষে ২৩হাজার লোক মারা গিয়েছিল। বেসরকারি হিসাবের কথা এখন আর না কই। এতো লোকের মৃত্যু বঙ্গবন্ধুর চোখেও পানি আনছিল।”
৭৪’এর দুর্ভিক্ষের বিষয়টা বড় ভাই পছন্দ করলেন না, তাই প্রসঙ্গ পালটে বললেন, “তোমারে জিগাই কি আর তুমি কও কি! ৭৪’র দুর্ভিক্ষের লগে এখন ভারতীয় পণ্য বয়কটের সম্পর্ক কি?”
গম্ভীর স্বরে উত্তর দিলাম, “৭৪’র দুর্ভিক্ষের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে যে ভারত বঙ্গবন্ধুর চোখে পানি আনছিল, তাদের পণ্য বয়কট করছি।”
তাকে প্রশ্ন করলাম, “৭৪’র দুর্ভিক্ষের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২৪সালে একজন লীগ হিসাবেও ভারতীয় পণ্য বয়কট করা আপনার উচিত কি না কন?” তিনি কিছুক্ষণ আমার চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে রইলেন, তারপর কোনো উত্তর না দিয়েই হাঁটা ধরলেন। তার সম্ভবত রোজা পেয়েছে, তারপরই মনে হলো আমিও তো রোজা ছিলাম, পৌনে এক ঘণ্টা আগে ইফতার করে এখন ব্লাড প্রেসার মাপাতে বের হয়েছি।
[লেখাটি “ইঞ্জিনিয়ার’স ডায়েরি” ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত ]
আজ এক আওয়ামী ভাই প্রশ্ন করলেন, “ভারতীয় পণ্য বর্জন করার অন্তত একটা ভালো যুক্তি দাও।”
চার/পাঁচদিন টানা বিছানায় শোয়া, আজই প্রথম অল্প সময়ের জন্য বাইরে বের হয়ে এমন প্রশ্ন শুনে বিরক্ত হলাম। তারপরও বিরক্তি চেপে হাসিমুখে বললাম, “বড়ভাই, ১৯৭৪ সালে ভারত আমার প্রাণপ্রিয় বঙ্গবন্ধুরে চাউল সহায়তা দেয় নাই। অন্যদিকে চোরাচালানের জন্য বর্ডার ওপেন করে দিছিল। সরকারি হিসাবেই ১৯৭৪’এর দুর্ভিক্ষে ২৩হাজার লোক মারা গিয়েছিল। বেসরকারি হিসাবের কথা এখন আর না কই। এতো লোকের মৃত্যু বঙ্গবন্ধুর চোখেও পানি আনছিল।”
৭৪’এর দুর্ভিক্ষের বিষয়টা বড় ভাই পছন্দ করলেন না, তাই প্রসঙ্গ পালটে বললেন, “তোমারে জিগাই কি আর তুমি কও কি! ৭৪’র দুর্ভিক্ষের লগে এখন ভারতীয় পণ্য বয়কটের সম্পর্ক কি?”
গম্ভীর স্বরে উত্তর দিলাম, “৭৪’র দুর্ভিক্ষের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে যে ভারত বঙ্গবন্ধুর চোখে পানি আনছিল, তাদের পণ্য বয়কট করছি।”
তাকে প্রশ্ন করলাম, “৭৪’র দুর্ভিক্ষের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২৪সালে একজন লীগ হিসাবেও ভারতীয় পণ্য বয়কট করা আপনার উচিত কি না কন?” তিনি কিছুক্ষণ আমার চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে রইলেন, তারপর কোনো উত্তর না দিয়েই হাঁটা ধরলেন। তার সম্ভবত রোজা পেয়েছে, তারপরই মনে হলো আমিও তো রোজা ছিলাম, পৌনে এক ঘণ্টা আগে ইফতার করে এখন ব্লাড প্রেসার মাপাতে বের হয়েছি।