[লেখাটি “ইঞ্জিনিয়ার’স ডায়েরি” ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত ]
প্রতি বছর নটরডেম থেকে বুয়েট, ঢাবি আর মেডিকেলে এত বেশি চান্স কিভাবে পায়?
১. প্রথম কারণ নটরডেমে দেশের সেরা ছেলেরাই পড়তে যায়। ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রবল কম্পিটিশন ছাড়াও এই ছেলেগুলার Determination অনেক বেশি। এরা বাবা-মা ছেড়ে অজানা এক শহরে আসে শুধুমাত্র পড়াশুনা করবে এই আশায়, মেধা, জেদ আর পরিশ্রম এই তিনের মিশ্রণ থাকলে সব সম্ভব।
২. কিন্তু শুধু মেধাবীরা যায় বলেই ভালো করে এমন না, মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঢাকার আরও কিছু নামকরা কলেজেও যায়, যেখানে ১৩০০ এর মধ্যে ১২০০ না পেলে সিট পাওয়া যায় না, কিন্তু তাদের সাফল্য HSC Golden পর্যন্তই, এটার কারণ Curriculum Structure. নটর ডেমে প্রতি সপ্তাহে দুইটা কুইজ, যেখানে ছোট জায়গায় Admission পরীক্ষার মতো প্রশ্ন উত্তর করতে হয় খুব কম সময়ে। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ৩ মিনিটে অংক সলভ করার Practice এই কলেজে ফার্স্ট ইয়ার থেকে করানো হয়।
৩. এখানে মাতব্বরি করে একসাথে ৪ টা অধ্যায় পড়ানো হয় না, একজন শিক্ষক প্রতি টার্মে, আর সিলেবাস যতটুকু শেষ হবে ততটুকুই পরীক্ষা, আর হ্যাঁ টেস্ট পরীক্ষা শুধু সেকেন্ড ইয়ারের সিলেবাসে। টেস্ট পরীক্ষার পর ছেলেদের থেকে টাকা হাতানোর ধান্দায়, মডেল টেস্ট, এডমিট কার্ড আটকায় রাখার কাহিনী নাই।
৪. শিক্ষকরা আসলেই ক্লাসে ভালো পড়ায়, সবাই হয়ত ভালো পড়াতে পারে না, কিন্তু প্রত্যেকটা শিক্ষক পড়ানোর চেষ্টা করে, কারণ Authority actively monitor করে। ক্লাসে পড়ায় না, কিন্তু কোচিং-এ ম্যাথের বস এমন Immoral Teacher দের সংখ্যা খুব কম।
৫. সর্বশেষ এখানে Positive Peer Pressure আছে। ১৪০ জনের ক্লাসে পিনপতন নীরবতা, বাসে ঝুলতে ঝুলতে পড়তেসে, এক অংক একশবার করা এসব জিনিস নিয়ে বাইরে Mock করলেও, এখানে Celebrate করা হয়। কম্পিটিশনের কারণে সবাই তটস্থ থাকে।
নটরডেম অন্তত আগামী দশ বছর এভাবেই রাজত্ব করবে, কারণ এখানে ব্যবসা করা হয় না, ব্যবসার জন্য মেধাবীদের ডেকে এনে নষ্ট করা হয় না।
লেখক – Momen Tazwoar Momit